আগামী এপ্রিল থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদন করলেই পাওয়া যাবে শেয়ার। সেই পথেই হাটছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিএসইসি)।
বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সাক্ষরিত চিঠিতে প্রযুক্তি উন্নয়নে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসই, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ-সিএসই ও সেন্ট্রাল ডিপোজেটরি অব বাংলাদেশ-সিডিবিএলকে।
বুধবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করলেও বৃহস্পতিবার তা প্রকাশ করা হয়।
এর আগে এ সংক্রান্ত এক কমিটির সভায় ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএলর আনুপাতিক শেয়ার বন্টন কার্যকর করতে আগামী জুন পর্যন্ত সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছিল।
তবে বিএসইসি ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়ায় এখন আর বিষয়টি পেছানোর বলে জানান সংস্থাটির মুখপাত্র রেজাউল করিম।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিক গণপ্রস্তাব-আইপিও আবেদন করলেই শেয়ার পেতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ থাকতে হবে ২০ হাজার টাকা। আর আবেদন করতে হবে ১০ হাজার বা তার গুণিতক হারে, যা নির্দেশনা আকারে প্রকাশ করেছে বিএসইসি।
এ সংক্রান্ত আরেক সভায় একজন বিনিয়োগকারী তার একটি হিসেব থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার আবেদন করতে পারবে বলেও আলোচনা হয়। যদিও এটি এখনও বিএসইসির কমিশন সভায় চূড়ান্ত হয়নি।
এখন পর্যন্ত আইপিওর শেয়ার বিতরণ করা হয় লটারির মাধ্যমে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে খুব কম সংখ্যকই এই শেয়ার পেয়ে থাকে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আইপিও আন্ডার সাবস্ক্রাইবড থাকলেও বাংলাদেশে শেয়ারের কয়েক গুণ আবেদন জমা পড়ে। বিনিয়োগকারীদের অর্থের একটি বড় অংশই আটকে যায়। টাকা ফেরত পেতে সময় লাগে।
আবার লাখ লাখ বিও হিসাব ব্যবহার হয় কেবল আইপিওর জন্য। বিএসইসি মনে করছে, নতুন পদ্ধতিতে আর কেবল আইপিওর জন্য বিও হিসাব থাকবে না। এতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়বে বলে আশাবাদী তারা।